Bangla Choti Golpo
bangla best teen choti. বাবলি নিজেকে সামলাতে পারুক বা নাই পারুক ওর বাড়ি থেকে পালিয়ে আসা মানুষটা শেষ পর্যন্ত পারেনি নিজেকে সামলাতে। নানা মোটেও ওই লুকানো কামুক বিকৃত জানোয়ারটার কথা বলছিনা, সেতো কখন আবার লেজ গুটিয়ে পালিয়েছে। সাথে সেই শরীরের মালিকও। কিন্তু পালিয়েও যেন শান্তি নেই। যেন মনে হচ্ছে কেউ তার সাথে তার পেছনেই বসে। যেন জড়িয়ে আঁকড়ে ধরে রয়েছে তাকে। আহহহহহ্হ মুক্তি চায় সেই পুরুষ কিন্তু কোনো এক অজানা শক্তি তাকে মুক্তি দিতে চায়না।
যেন কেউ এতো জোরে চেপে ধরছে যে দম নেওয়া পর্যন্ত কঠিন ক্রিয়া মনে হচ্ছে। প্রচন্ড ভয় হচ্ছে সুবিমলের। রাস্তায় যতবার চোখ এদিক ওদিক কোনো বিপরীত লিঙ্গের অধিকারিণীর ওপর পড়ছে ততবার আরও ভয় পেয়ে যাচ্ছে। এমন কি ওই…. ওই গলির মুখে বসে থাকা পাগলী আর তার কোলের বাচ্চাটাকে দেখে যেন ভয় কাঁটা দিয়ে উঠলো সারা শরীরে। পাগলী যেন ওর দিকে তাকালো। চোখাচুখী হলো দুজনার। উফফফফ কি ভয়ঙ্কর সেই দৃষ্টি! ওই যে! ঐযে হাত বাড়িয়ে ওকে যেন ডাকছে! কে ওটা? ওটা পাগলী নয়? কে ওটা? নানা! এ হতে পারেনা!
best teen choti
সব মুখে বারবার ওই মুখটা দেখতে পাচ্ছে কেন সুবিমল? আর ওই কোলের বাচ্চাটা! ওটাকি তাহলে সেটা যেটা জন্ম নিতে পারেনি? নানা! তা কি করে……আহহহহহ্হ কে যেন আবারো মুচড়ে দিচ্ছে বাঁদিকের যন্ত্রটা! ওটা যেন বার করে আনবে শরীর থেকে সেই অদৃশ্য পিশাচিনি! আহহহহহহহহহহ্হ!!আর পারেনি বাবলির মহান চরিত্রবান হ্যান্ডসাম সুদর্শন কাকু সেই শেষ ব্যাথা সহ্য করতে। পালিয়ে গিয়েও যেন কারো কাছে ধরা পড়েই গেলো সে। ধাপ্পার চমক বুকে নিয়ে নিজ বাহন থেকে উল্টে পড়ে গেলো সে। যেন কেউ ধাক্কা দিলো পেছন থেকে নাকি নিজেরই কোনো ভুল? আর ভাবার সময় পেলোনা লোকটা।
বুকের অসহ্য ব্যথা নিয়েই শুয়ে শুয়ে দেখলো একদম পেছনের বিরাট দৈত্তকে। যেটা তার ওই ছোট্ট বাইকের মতো সুন্দর না হলেও বীভৎস শক্তিশালী ও প্রকান্ড! ঠিক যেমন বাবলি সোনা আর কাকুর শারীরিক তফাৎ। যেভাবে সুবিমল নিজের ৬ ফুটের শরীর নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল ছোট্ট বাবলি সোনার ওপর ঠিক সেইভাবেই যেন এক প্রকান্ড দৈত্ত ঝাঁপিয়ে পড়তে চায় এই পিশাচ পূজারির ওপর। প্রচন্ড বীভৎস এক হুঙ্কার শুনতে পেলো সে ওই দৈত্তের। পালানোর পথ নেই সুবিমলের। যেন কেউ তাকে চেপে ধরে রেখেছে অথবা নিজেরই অক্ষমতা। best teen choti
বোঝার উপায় নেই কারণ একেবারে সম্মুখে সেই বীভৎস দানবটা। জ্বলন্ত চোখ দুটো যেন খুব কাছে এগিয়ে এসেছে! আর দানবটার কতগুলো বিশাল পা! সবকটা নিয়ে সে ছুটে আসছে ওর দিকেই! বিস্ফোরিত চোখ নিয়ে শেষবারের মতো চোখের সামনে ভেসে উঠলো একটা দৃশ্য। একটা হাত এক নারীর গলা টিপে সজোরে ধাক্কা দিলো আর তারপরেই একটা চিৎকার সোনা গেলো! কার চিৎকার? ওই নারীর? নাকি নিজেরই শেষ চিৎকার? আর জানতে পারলোনা সে।
ততক্ষনে প্রগতির প্রতীক যা বহু বছর ধরে মানুষ্য জাতিকে এগিয়ে নিয়ে গেছে, যা এক মহান আবিষ্কার ছিল আদিম সভ্যতার, যা ক্রমে ক্রমে ছোট্ট থেকে বড়ো হয়ে আকৃতি পাল্টে বিরাট হয়ে এগিয়ে গেছে আরও আধুনিকতার পথে সেই চাকা ক্ষমা করেনি ওই পাপীকে। তার লক্ষ ছিল ওই পুরুষের বিষাক্ত মাথা! সেটাকে মাড়িয়ে পিষে দিয়ে চলে গেছে সেই দানব। তার কাজ শেষ। যেন এইজন্যই এতক্ষন পেছন পেছন ধাওয়া করছিলো সে। দূরে বসে থাকা ক্ষুদার্থ পাগলী মা নিজের সন্তানের জন্য একটু খাবার চাইতে হাত বাড়িয়ে ছিল। best teen choti
কিন্তু মানুষটা ঐভাবে ওকে দেখেও অবজ্ঞা করে যেতে গিয়ে ছিটকে পড়লো আর বাকিটাতো মর্মান্তিক। সেসব হা করে তাকিয়ে দেখলো সেই পাগলী। হয়তো পাগলী বলেই চোখ সরিয়ে নেয়নি কিংবা সে হয়তো সেটাই দেখতে চাইছিলো। কে জানে? পাগলী বলেই হয়তো মাথা চুলকে হালকা হাসির রেখা দেখা দিয়েছিলো তার ঠোঁটে। তারপর অবশ্য বাচ্চার কান্নায় মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছিল। লোকের ভিড় চিৎকার আর কানে যায়নি তার।
এরপর আর কিছুই থাকতে পারেনা। বলা যেতে পারে সব শেষ এখানেই। শুধু যেটুকু বাকি আছে তা যদি বলি তাহলে এটুকুই বলার এই দুর্ঘটনার খবর দুই বাড়িতেই পৌছায়। বাবলি যখন দরজা খুলে দিয়েছিলো নিমন্ত্রণ থেকে ফিরে আসা বাবা মায়ের জন্য তখনই ওর হাতের ফোনটা বেজে ওঠে। রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে থেকে যা কিছু কানে যায় তাতে স্থির হয়ে যায় সে মূর্তির মতো। সন্ধেবেলাতেই শেষ কথা হয়েছিল বাবলির সাথে সুবিমল কাকুর ফোনে। বাবা মা যখন বিয়ে বাড়ির নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে বেরিয়ে যাবে তার কিছু আগেই কাকুকে নিমন্ত্রণ করে ডেকে এনেছিল নিজের বাড়িতে বাবলি। best teen choti
তার ওর নম্বরটাই সবার ওপরে ছিল। বাবলির বাবা মা দেখছে ফোনটা আসার পর তাদের সর্বদা হাসিমুখে থাকা কন্যা যেন পাল্টে যাচ্ছে। চোখমুখ বিস্ফোরিত। বার বার ঢোক গিলচ্ছে সে। হাত কাঁপছে। তারা কিকরেই বা জানবে মেয়ের এমন অবস্থা কেন? একটু আগেই যে লোকটা তাদের মেয়ের একপ্রকার সর্বনাশ করে পালিয়ে গেছিলো এখন কিনা সে নেই! বাবলি আর শুনতে পারেনি। ফোনটা বাবার হাতে দিয়ে শুধু এইটুকুই বলতে পেরেছিলো সে সুবিমল কাকুর আর….. ব্যাস এইটুকুই।
খবরটা অঞ্জন বাবু তার স্ত্রীকেও চমকে দিয়েছিলো। সেটাই স্বাভাবিক। এতদিনের চেনা মানুষটা, বাবলির বাবার বিশ্বাসী বন্ধু যে কিনা তাদের হিসেবে কিছুদিন আগেও এসে গল্প করে গেছে, যার নতুন ফ্ল্যাটে গিয়ে তারা আড্ডা দিয়ে এসেছে সেই স্ত্রী হারা মানুষটা আজ নিজেও নেই! এ কি মেনে নেওয়া যায়? আর তাও এমন মৃত্যু? উফফফফফ! বাবলির বাবা তৎক্ষণাৎ বেরিয়ে পড়েন শেষবারের মতো বন্ধুর দায়িত্ব পালন করতে। আহা এতদিনের বন্ধুটা চলে এলো গেলো এইভাবে? নানা এটা হতে পারেনা! best teen choti
ভেঙে পড়েছিল অঞ্জন বাবু কিন্তু তাও স্ত্রীকে মেয়ের কাছে রেখে বেরিয়ে পড়েন আবারো। বাবলির মা জড়িয়ে ধরে বাবলিকে। কিন্তু বাবলি যে আর স্থির থাকতে পারছেনা। একটা ব্যাখ্যাহীন বীভৎস ভয় যেন ঘিরে ধরছে ওকে! কেন সেটা জানেনা ও। কিন্তু খুব ভয় হচ্ছে ওর। মাকে জড়িয়ে ধরেছে সে কিন্তু তাও যে ভয় কমছেনা। বারবার মাথায় একটা মুখ ভেসে উঠছে। আর সাথে একটা পাপের মুহূর্ত। মা জানেনা, বাবা জানেনা, ওরা জানবেও না কোনোদিন। কিন্তু বাবলি তো জানে, প্রিয়াঙ্কা তো জানে। কোথায় ওই প্রিয়াঙ্কা? বাবলিকে সাহস দিচ্ছে না কেন এখন সে? নাকি সেও ভয় পালিয়েছে? ভীতু হেরো এক নষ্টা মেয়ে!
এদিকে যে তার ভুলের শাস্তি বাবলি পাচ্ছে এখন। নানানানা কিছুতেই যেন ভুলতে পারছেনা লোকটাকে ও। পারছেনা এতদিনের পাপগুলো ভুলতে। পারছেনা আজকের সন্ধের দুষ্টুমি ভুলতে। হয়তো সেটাই সবথেকে বেশি ভয়ের কারণ। যে লোকটার সাথে এই কিছু সময় আগেও এক অনৈতিক কর্মে লিপ্ত হয়েছিল সে, মেতে উঠেছিল পৈশাচিক উল্লাসের খেলায়। নিজের বাঁধা অতিক্রম করে, নারীত্বর মর্যাদা ও গন্ডি ভেঙে এক লোভী ক্ষুদার্থ ডাইনিতে পরিণত হয়ে লোকটার পুরুষাঙ্গর স্বাদ নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছিল সে। best teen choti
বাবার বন্ধুর বারবার এই দুস্টু আমন্ত্রণ ও দুস্টু কথাবার্তা তাকে, তার শরীরকে, তার মস্তিস্ক কে বারবার বিপথে চালিত করেছে। সব জানা সত্ত্বেও অতীতের একটা নোংরামি দেখে ফেলার পরেও এমন একটা মানুষের প্রতি এতটাই আকর্ষিত হয়ে পড়েছিল যে সে সামনে না থাকলেও তাকে ভেবে, তার ক্রিয়াকলাপ ভেবে নিজেকে নিয়ে খেলেছে। মানুষটা তাকে নিয়ে বা বলা উচিত তার নিষ্পাপ মস্তিস্ক নিয়ে এমন ভাবেই খেলেছে যে সেই ব্রেন পড়াশোনা, পবিত্র বন্ধুত্ব, সব ভালো দিক গুলো একটু একটু করে ভুলে বিকৃত চাহিদায় মেতে উঠতে বাধ্য হয়েছে।
এমন কি এতটাই স্পর্ধা বাড়িয়ে ফেলেছে নিজের যে এক ভোলাভালা পাগল মানুষকে শিকার করে তৃপ্তি পেয়েছে। এমন সাহসী হয়ে উঠেছে যে বাবা মা বেরিয়ে যেতেই থাকতে না পেরে বাবার বন্ধুকে ডেকে এনে তাকে নিজের যৌবন সপে দিয়েছে….. তা যতই প্রাথমিক ভয় পেয়ে থাকুক না কেন। কাকুর আদর, কাকুর শয়তানি, কাকুর কথাবার্তা আজ ওকে এতটাই পাগল করে তুলেছিল যে বাবলিকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে ওই পিশাচিনি বেরিয়ে এসে কাকুর সাথে রমন ক্রিয়ায় মেতে ওঠার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে, তার বাবার বিশ্বাসী ওই বন্ধুর কামদন্ড নিজ মুখে মৈথুন করে কাকুকে পাগল করে তুলেছিল সে। সেই কাকু আর নেই। best teen choti
একটা ট্রাক মাথার ওপর দিয়ে চলে গেছে। স্পট ডেড! খবরটা যেন এখনো কানের সামনে কেউ বলে চলেছে। সে আর নেই। কিন্তু…..কিন্তু কাকুর শরীরের একটা জিনিস এখনো বাবলির কাছে রয়ে গেছে। বা বলা উচিত তার পেটে। যেটা কিনা ও নিজেই কিছু সময় আগেই কাকুর শরীর থেকে বার করে পান করেছে! পুরোটা চেটেপুটে খেয়েছে আয়েশ করে।
হটাৎ সেটা মনে পড়তেই কেন যেন বমি পাচ্ছে বাবলির। থাকতে পারলোনা বাবলি আর। মায়ের কাছ থেকে উঠে মুখে হাত চাপা দিয়ে দৌড়ে গেলো বেসিনের দিকে। জীবনের সবচেয়ে বড়ো শিক্ষাটা এতদিনে বোধহয় পেলো আজ সে। কাজ শেষে হাঁপাতে হাঁপাতে তাকালো সামনের আয়নায়। সেখানে নিজেকেই দেখতে পাচ্ছে সে। কই? প্রিয়াঙ্কা নেই তো আর।
ওই বাড়িতেও একসময় পৌঁছে যায় খবর। তারপরে আর কি হতে পারে সেটা বলার প্রয়োজন নেই। একটা ঝড় বয়ে গেলো এই বাড়ির ওপর দিয়েও। এক আসন্ন মজার দিনের প্রস্তুতির ওখানেই ইতি। বাড়ির কর্তা তৎক্ষণাৎ বেরিয়ে যান। আর বাড়ির গৃহবধূ ও দুই সন্তানের মা (যদিও এক সন্তান নিজের পেটের নয়) ধীর পায়ে এগিয়ে যায় দোতলার ঘরে। নিচে তখন বুড়ি শাশুড়িকে কিছুই জানানো হয়নি। সে বয়স্ক মানুষ। ধীরে সুস্থে জানাতে হবে। কিন্তু সেই মানুষটাকে কিভাবে জানাবে সে এই সত্যিটা যে ওপরের ঘরে পড়াশুনা করছে? best teen choti
যে একজনকে হারিয়ে ভেঙে পড়েছিল। শান্ত চুপচাপ প্রায় বোবা এক মানুষে পরিণত হয়েছে সে। কোনোরকমে মামীকে মা হিসেবে পেয়ে একটু পরিবর্তন এসেছে। কিন্তু তার মধ্যেই যদি এই খবর কানে যায় তাহলে তো!! আর ভাবতে পারলোনা সে। কি বলবে নাকি বলবেনা ভাবতে ভাবতে সে এগিয়ে যেতে লাগলো সিঁড়ির দিকে। বারবার মানুষটার মুখটা ফুটে উঠছে তার সামনে। সেই হাসিমুখ, সেই আড্ডা, সেই অতীতের এতদিনের স্মৃতি। আর তার সাথে এতদিনের মনের অন্তরে লুকানো একটা অনুভূতি। যা কাউকে জানতে দেয়নি সে।
হাসি মজা দুঃখ আড্ডা সব কিছু ছাড়াও সেই লুকানো অনুভূতির জাগরণ যেটি কোনোদিন নিজেই মেনে নিতে পারেনি অরুনিমা। কিন্তু একেবারে মন থেকে ঝেড়ে ফেলতেও পারেনি সে। সে দুশ্চরিত্রা নয়। স্বামীকে ঠকিয়ে অন্য কিছু সে কোনোদিন ভাবতেই পারেনি। কিন্তু আবার নন্দাইকে এড়িয়ে যেতেও পারেনি। অমন ব্যাক্তিত্ব, অমন অসাধারণ আকর্ষক পুরুষ সে বড্ড কম দেখেছে। বলা যায় দেখেইনি। জীবনে পুরুষ কম সে দেখেনি কিন্তু এই মানুষটার মধ্যে কি যেন ছিল যেটা বার বার আকর্ষণ করেছে তাকে। কাউকে কোনোদিন জানতে দেয়নি অরুনিমা সেসব। হয়তো নিজের চেনা রূপটাকেও নয়। best teen choti
কিন্তু তার ভিতরের নারী বার বার তাকাতে বাধ্য হয়েছে অমন সুদর্শন পুরুষের দিকে। তাও প্রেমিকার চোখে। আবার নামিয়েও নিয়েছে চোখ। কি যেন একটা ব্যাপার ছিল লোকটার মধ্যে যেটা বারবার তাকে বাধ্য করেছে কিছু মুহূর্তের জন্য পাল্টে যেতে। আজও মনে আছে সেদিনের সেই মুহূর্ত। সেই ব্যাক্তির এগিয়ে আসা, সেই ঠোঁট জোড়ার এগিয়ে আসা তার ঠোঁটের দিকে। সেই ভালোলাগা। কেন জানি সেদিন, সেই মুহূর্তে বড্ড ইচ্ছে করছিলো একটা ভুল করতে। একবার…. শুধু একবার স্বামীকে লুকিয়ে নিজের স্বার্থের কথা ভাবতে।
আজও কানে ভাসে মানুষটার সেই কথাটা – ” ঠিকাছে…..আজ থেকে আমি ওর বাবা, আর তুমি ওর মা। ” ছোট্ট এই কথাটার মানেটা বারবার অন্য ভাবে ভাবতো সে। ইশ যদি ওই কথাটা সত্যি হতো। অনি অরুনিমা আর সে লোকটা। কিন্তু তারপরেই নিজেকে ধিক্কার জানিয়েছে সে প্রতিবার। এসব কি ভেবেছে সে! ছি! তার স্বামী কি খারাপ মানুষ নাকি? ওনার মতো মানুষ হয়না। কিন্তু আবারো অরুনিমার মনে ও মাথায় অনির্বানের বাবার মুখটা ফুটে উঠেছে। বিশেষ করে যে যে দিন গুলোতে মানুষটা আসতো ছেলের সাথে দেখা করতে সেদিন যেন কেমন একটা আলাদা ভালোলাগা কাজ করতো ওর মধ্যে। best teen choti
আর প্রতিবার যখন সকলের নজর এড়িয়ে মানুষটা সেই পাগল করা চাহুনিতে তাকাতো ওর দিকে তখন বুকের ভেতর ঝড় বয়ে যেত যেন অরুনিমার। ওই পুরুষটার দিকে আর যেন তাকিয়ে থাকতে পারতোনা সে। নামিয়ে নিতো চোখ। জড়িয়ে ধরতো ছেলেকে। আর সেইবার ঐযে ছেলেকে আদর করার নামে তার কাঁধে রাখা এই বাঁ হাতটার ওপর সে যখন হাত রেখেছিলো। ছেলের থেকে চোখ সরিয়ে তাকিয়ে ছিল সামনের এই নারীর দিকে সেই পুরুষটি। উফফফফ সেই কিছু মুহূর্তের চাহুনি যেন বুকে কম্পন এনেছিল অরুনিমার।
না চাইতেও সন্তানদের ঘুম পাড়ানোর পর জেগে থেকে কিছুক্ষন ভাবতে বাধ্য হয়েছিল অলীক কিছু দৃশ্য। যা কেউ কোনোদিন জানতে পারবেনা। সেটা রহস্যই থেকে যাবে তার অন্তরে। কিন্তু সেই কল্পনার মধ্যেকার অসাধারণ পুরুষটি আজ আর নেই! যাকে ভেবে যাকে দেখে মন চঞ্চল হয়ে উঠতো অরুনিমার সে আজ চিরতরে চলে গেলো তাদের ছেড়ে। তাও কিনা এইভাবে! ওহহহ্হ কত নিষ্ঠুর সে যে কেড়ে নিলো লোকটাকে। কি হবে তার এবার? কি হবে ছেলেটার? best teen choti
ছেলে….. হ্যা সেই ছেলেটাকে তো যেন এতক্ষন মনেই ছিলোনা। নিজের গোপন ইচ্ছা ও অপূর্ন কিছু চাওয়ার মাঝে হয়তো অন্তরআত্মা এতক্ষন ওই নিষ্পাপ বাচ্চাটাকে আসতেই দেয়নি। কিন্তু এবারে ওর কথা মনে পড়তেই আবারো এক অজানা দুশ্চিন্তা আর দুঃখ পাচ্ছে অরুনিমা। অনি ওর নিজের পেটে জন্মায়নি কিন্তু সে আজ ওর ছেলেই হয়ে গেছে। নিজের মেয়ের থেকে কোনো অংশে কম নয় ওই ছেলেটা। শুরুর দিকে তো ওই পাথর ছেলেটাকে দেখাশুনা করতেই সময় পার হয়ে যেত। একটুখানি হাসি ও স্বাভাবিক রূপ দেখার জন্য মরিয়া হয়ে থাকতো এই মামী।
কিংবা বলা চলে মা। কারণ মামীর শুরু তো মা দিয়েই। কিন্তু এবার? এতদিনে ছেলেটা কিছুটা হলেও স্বাভাবিক হয়ে উঠেছিল। এর মাঝে যদি এই সাংঘাতিক খবরটা ওর কানে যায় কি হবে ছেলেটার! নানা! আর ভাবতে পারলোনা অরুনিমা। হয়তো একটা মানুষকে সে হারিয়ে ফেললো পরিবারটা, সাথে হয়তো সে নিজেও। কিন্তু তার শেষ সম্বল এই ছেলেটাকে হারাতে চায়না এই মা। সে যে ওরই সন্তান আজ। তাই কোনোরকমে নিজেকে সামলে এগিয়ে যেতে লাগলো সিঁড়ির দিকে। উঠে এলো ওপরের নিজের ঘরের দিকে। best teen choti
পর্দা সরিয়ে ভেতরে তাকাতেই সে দেখলো একটা মিষ্টি ছেলে ঘুমন্ত বোনের পাশে বসে। হাতে বই কিন্তু চোখ দেয়ালের দিকে। সেখানে একজনের ছবি টাঙানো। বুকটা ধক করে উঠলো দুঃখে মামীমার। কোনোরকমে নিজের চোখ মুছে ঘরে ঢুকে এগিয়ে এসে ছেলের মাথায় হাত বুলিয়ে জিজ্ঞেস করলো ” হরলিক্সটা দি বাবু? খেয়েনে এবার “।
ওপাশ থেকে মুখ ফিরিয়ে এই মায়ের দিকে তাকিয়ে সে শুধুই মাথা নেড়ে জানিয়ে দিলো ঠিকাছে। একটা খবর দেবার কথা ভেবেও দিতে অসফল সেই মা নিজেকে সামলে শান্ত থাকার অভিনয় করে হালকা হেসে ছেলের গাল দুটো টিপে দিয়ে কপালে একটা চুমু দিয়ে তৎক্ষণাৎ বেরিয়ে গেলো ঘর থেকে। পালিয়ে গেলো বলা বোধহয় সঠিক হবে। নইলে যে ছেলেটা মায়ের চোখে অশ্রুধারা দেখে ফেলতো।
মামী….. নানা মা…. যতক্ষণ না ঘর ছেড়ে চলে গেলো ততক্ষন সে দেখছিলো নিজের নতুন মাকে। সে জানে তার এখনো হরলিক্স খাবার সময় হয়নি। সে জানে মা অন্য কিছু একটা বলতে ঘরে এসেছিলো কিন্তু বলতে পারেনি। সে জানে মা তার থেকে কিছু লুকিয়ে গেলো। কারণ অনিও যে মায়ের থেকে লুকিয়ে গেছে অনেক কথা। কাউকে কোনোদিন জানতে দেয়নি। এই বয়সেই বুক ভর্তি বিষ নিয়ে একটু একটু করে বড়ো হচ্ছে সে। দিনের পর দিন পার করছে সে। সেই সব লুকোনো জমে থাকা মুহূর্তের মধ্যেই আজকের মুহুর্তটা জমা হয়ে রইলো না হয়। best teen choti
বাথরুম যাবার জন্য একতলায় নামার পথেই সিঁড়ির মুখে মামীর আর মামার গলা শুনতে পেয়েছিলো ও। মামীর শান্ত গলা কিন্তু আজ তা ছিল অশান্ত। তারপরে দুজনের কথা কিছুক্ষন শুনে কয়েক সেকেন্ড স্তব্ধ হয়ে যায় অনি। হয়তো শেষবারের মতো একটা টান অনুভব করে বিশেষ সেই মানুষটার প্রতি। কিন্তু তারপরেই কিছু বীভৎস দৃশ্য মনে যায় ওর। কিছুক্ষন নিচের দিকে তাকিয়ে থাকে। তারপরে কাজ সেরে ফিরে আসে নিজের ঘরে। ওরা জানতেও পারেনি যে তাদের অনি বাবু শুনে ফেলেছে মূল কথাটা।
মা চলে যেতেই সে আবার তাকালো দেয়ালের দিকে। টাঙানো ফটোতে হাসিমুখে তার দিকে তাকিয়ে থাকা মানুষটার দিকে। একদিন এই হাসিমুখ সে রোজ দেখতো। সেই মহিলার আদর আর বকুনি না খেলে থাকতেই পারতোনা সে। তার পাশে শুয়ে তার হাতের স্পর্শ না পেলে ঘুমই আসতোনা। সেই হাতের স্পর্শ আর কোনোদিন পাবেনা সে জানে। মেনে নিয়েছে সে। কিন্তু আজও যেটা মানতে পারেনি সেটা হলো সেই রাতের বীভৎস এক দৃশ্য। হায়নার দলের মাঝে মামনি! উফফফফ সেই সব ভুলতে চেয়েও যেন মাথায় গেঁথে গেছে চিরতরে। best teen choti
আর এক আগুন অজান্তেই বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই রক্ষকের প্রতি যে নিজেই ভক্ষক হয়ে নিজের সঙ্গিনীকে ফেলে দিয়েছিলো হায়নাদের দলের মাঝে। তারপরে নিজেই কেন জানি দূরত্ব বানিয়ে নিয়েছিল সেই চেনা মানুষ দুটোর থেকে। সেদিন থেকেই সে শান্ত। মায়ের স্পর্শ আর যেন পেতে চায়নি সে। ঐহাত ওকে স্পর্শ করতে এগিয়ে এলে কেমন যেন ভয় লাগতো ওর। সেইজন্য অনেকবার জন্মদাত্রিণীর চোখে অন্য দৃষ্টি দেখেছে সে। আচ্ছা সেও কি বুঝেছিলো যে তার সন্তান কিছু দেখে ফেলেছে? এমন কিছু যা তার দেখা উচিত ছিলোনা?
তাই কি বাবার সাথে সেই নিয়ে এতো ঝগড়া হতো? আজও মনে আছে দূর থেকে ভেসে আসা সেই নারীর কঠিন অস্পষ্ট কিছু কথা যা ভোরের ঘুমের মধ্যেই যেন শুনতে পেয়েছিলো অনি – “না! আর না! আমি আর পারবোনা। বেশি ভয় দেখিওনা আমায়, আমিও কিন্তু তোমায় ভয় পাইয়ে দিতে পারি! তুমি ভালো করেই জানো আমি চাইলে আজ তোমার কি করতে পারি!” তারপরে আর কিছু কানে যায়নি অনির্বানের। আবারো যেন সব শান্ত। কিছু মনে নেই। আবার ঘুম ভাঙে বাবার চিৎকারে। চোখ ডলতে ডলতে বেরিয়ে এসে বাবার কাছে এগিয়ে গিয়ে দেখে সেই নারী সিঁড়িতে ঘুমিয়ে। best teen choti
ব্যাস চোখ দুটো খোলা। আর মনে করতে চায়না সেই দৃশ্য সে। সেই শেষ সাক্ষাৎ মানুষটার সাথে। আর আসেনি মা ওর কাছে। তার বদলে পেয়েছে এই মামীমাকে। কিন্তু সেই মাকেও যতবার বাবার সাথে দেখেছে ততবার সে কেন জনি একটা অজানা ভয় পেয়েছে। বাবাকে দেখেছে অনেকবার মামীর সাথে কথা বলতে। খুবই সাধারণ এই ব্যাপারটাও দেখে ভয় পেয়েছে অনি। কারণ সরাসরি না খুঁজে পেলেও মস্তিষ্কের গভীরে লুকিয়ে থাকা কিছু ভয়ঙ্কর দৃশ্যই হয়তো ওর ভেতরে এই অনুভূতির জাগরণ ঘটিয়েছে বারবার।
এমনকি সেইবার নিজের বাড়িতে মামীর কাঁধে বাবার হাত আর বাবার একটু একটু করে মামীর দিকে এগিয়ে যাওয়া পুরোটাই লুকিয়ে দেখে ফেলেছিলো ও। আবারো কেমন ভয় পেয়ে বসেছিল। কিন্তু নিজের ভেতরে থেকে কেউ যেন বলে উঠেছিল এটা হতে দিওনা, আটকাও! আর তখনি সাহস করে মামী মামী বলে এগিয়ে গেছিলো সে ঘরে। তখনি বাবা সরে গেছিলো মামীর থেকে। এটা দেখে একটা শান্তি পেয়েছিলো সে। যেন বাবা মামীর কোনো ক্ষতি করতে যাচ্ছিলো। হয়তো তাই। কারণ ওই মানুষটার যে রূপ সে দেখেছে সেটা মামী মামা কেউ দেখেনি। best teen choti
সেও চায়না আর ওই রূপটা দেখতে। এই বাড়িতে থাকলে যদি আবার বাবার ওই রূপ দেখে ফেলে! তাই মামীর মুখে ” আমার সাথে যাবি সোনা? ” শুনেই এক কথায় যেতে রাজি হয়ে গেছিলো সে। বাবাও আটকায়নি। ভাগ্গিস। কিন্তু এরপর যতবার বাবা এবাড়িতে এসেছে একবারও খুশি হয়নি অনি। দূরত্ব বেড়ে যাবার পর আপনজনের প্রতি কোনো টান অনুভব করেনি সে। বরং উল্টোটাই হয়েছে। আর মামা মামী বোনের কাছে থাকতে থাকতে ওদেরকেই সেই সম্মানের আসনে বসিয়ে ফেলেছে সে। আর সাথে দেয়ালে টাঙানো ওই মুখটা।
সেও যেন ওর সাথেই আজও আছে। মামীর মধ্যে যেন সেই চেনা মাকেই দেখে অনি। আজও মনে পড়ে এ বাড়িতে আসার পর কেন যেন ঘুমের মধ্যে কেঁপে উঠতো ও। দুঃস্বপ্ন দেখতো। কিন্তু ঠিক তখনি একটা হাত এসে ওর মাথায় হাত বুলিয়ে দিলেই সব শান্ত হয়ে যেত। অনেক সময় ঘুম ভেঙে গেলে চোখ খুলে দেখতো মামী তার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে। ঠিক যেমনটা মা বুলিয়ে দিতো। আর সেই মায়ের দিকে ওর বাবা যখন অন্য অচেনা দৃষ্টিতে তাকাতো তখনি চঞ্চল হয়ে উঠতো অনিবাবুর মন।
ওই ছোট ছেলেটা অনেক কিছুই না বুঝলেও বাবা এবাড়িতে আসার পর একবারও মামীকে নিজের চোখের আড়াল হতে দিতো না। সবসময় মামীর সাথে লেপ্টে থাকতো। যেন মামী চোখের আড়াল হলেই বাবা যেন কোনো ক্ষতি করে দেবে এই মায়ের। কিন্তু আজ আর সেই ভয় নেই। আর সে আসবেনা এ বাড়িতে। আর মামীর দিকে অদ্ভুত ভাবে তাকাবেনা। best teen choti
আর ভয়ঙ্কর কোনো দৃশ্যর সাক্ষী হতে হবেনা ওকে। হটাৎ ওর হাতের ওপর একটা ছোট্ট হাতের স্পর্শ পেলো অনি। তাকালো বিছানায়। ছোট্ট চোখেদুটো দিয়ে পিট পিট করে দাদাকে দেখছে পুচকে মামনিটা। হাত পা নাড়িয়ে হাসছে দুস্টুটা। বইটা পাশে রেখে বনুকে কোলে তুলে নিলো অনি। কপালে একটা চুমু খেলো ওর। তারপরে আবার তাকালো সামনের দেয়ালে ওই ছবির দিকে। আজ…এতদিন পর প্রথমবার একগাল হাসি ফুটে উঠলো অনির ঠোঁটে।
|| সমাপ্ত ||
গল্প এখানেই শেষ। শেষে কয়েকটা লাইন আমার পক্ষ থেকে এই গল্পের ও আপনাদের প্রতি –
আসবে অনেক সুখের প্রলোভন
যখনি আসবে নব যৌবন
আসবে অনেক ফেরিওয়ালা
মেটাবে তারা নাকি দেহের জ্বালা
সামনে পাবে বিরাট খোলা দরজা
বলবে অনেকেই ঢুকে পড়ো সোজা
দেখতে পাবে নতুন কিছু
সাক্ষী হবে তুমি নানা মজার
একবার এসে পড়োই না বাবু
সামনে দেখবে কত্ত খাবার
নানা ফল মূল নানান মাংস
নানা সাইজের নানা অংশ
কোনটা ছেড়ে কোনটা খাবে?
এই তো শুরু যাত্রা সবে
আরও ভেতরে ঢুকলে পরে
দেখবে আরও মজার জিনিস
আসবে নাকি মোর হাতটি ধরে?
হবেনা সহজে মজা যে ফিনিশ
লুকিয়ে তুমি চুপটি করে
এসোই না এই গোপন ঘরে
কত সঙ্গী কত সঙ্গিনী
কেউ বা মুক্ত, কেউ বন্দিনী
যা খুশি তুমি কোরো তাদের
একটু না হয় হলেই শয়তান
ছিন্নভিন্ন করে ফেলে সব
নিও চাইলে তাদের যে জান
আরেক রাস্তা দেখতে পাবে
জ্ঞানের রাস্তা বলে যে তাকে
সেই রাস্তায় হাঁটলে তুমি
দেখতে পাবে বাবা মাকে
হাসছে তারা ডাকছে কাছে
বলবে সোনা আয় চলে আয়
এই রাস্তাতেই সেই সুখ আছে
যা কিনা মোদের মানুষ বানায়
এইবারেতে তোমার ওপর
কোন রাস্তায় হাটবে তুমি
যে রাস্তা তোমায় দেবে মাংস নাকি
যেথায় নীল আকাশ সবুজ ভূমি?
– বাবান
শেষ হলো নষ্ট সুখ। কেমন লাগলো কমেন্ট জানাবেন পাঠক বন্ধুরা। এই শেষ পর্ব ভালো লেগে থাকলে শেষবারের মতো লাইক দিয়ে উৎসাহ দেবেন। ধন্যবাদ।